ঈদুল ফিতর ও ইসলামী সংস্কৃতি

বর্ষঃ ১ সংখ্যাঃ ৪
এপ্রিল, ২০২৪

ঈদুল ফিতর ও ইসলামী সংস্কৃতি

ইঞ্জি. তাহসিন আল মাহি

Views: 170

Share:

ঈদুল ফিতর একই সাথে একটি ইবাদত এবং একটি ইসলামী সংস্কৃতি। মদীনার ইহুদীদের পালিত নওরোজ ও মেহেরজান উৎসবের পরিবর্তে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলিমদেরকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালনের নির্দেশ দেন। এ দু’টি উৎসব ছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আর কোন উৎসব উদযাপন করা প্রমাণিত নয়।

কাফেরদের উৎসব থেকে মুসলিমদেরকে বিরত রেখে আল্লাহ প্রদত্ত উৎসবের মাধ্যমে ইবাদত পালন করার জন্যই দুই ঈদ দান করা হয়েছে। রমযান মাসে পুরো একমাস রোযা রেখে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় এবং আনন্দ উদযাপন- দুটোই পালন করা হয় ঈদুল ফিতরের মাধ্যমে।

সংস্কৃতি এমন একটি বিষয় যা একটি জাতির অন্তরের লালিত বিশ্বাসকে প্রকাশিত করে। লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, দুই ঈদের প্রতিটি স্তরে তাওহীদ আলোর মতো প্রতিভাত হয়ে ওঠে। অপরদিকে কাফের-মুশরিকদের প্রত্যেকটি উৎসবের পেছনে শিরকী-কুফরী বিশ্বাস কাজ করে।

নিছক উৎসব হিসেবে গণ্য করে সেদিন যদি ইহুদীদের উৎসব মুসলিমরাও পালন শুরু করতো তাহলে অচিরেই তারা শিরকী-কুফরী আকীদায় আক্রান্ত হয়ে পড়তো। এজন্য ইসলামী সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে আঞ্চলিক, জাতিগত কিংবা ভৌগলিক উৎসব পালন করা মুসলিমদের জন্য হারাম। তাই "বাঙালীর উৎসব" নাম দিয়ে চালানো বাংলা নববর্ষ উদযাপন সম্পূর্ণরূপে হারাম। এই উৎসবের প্রতিটা স্তর শিরকী কর্মকাণ্ডে পরিপূর্ণ।

আফসোস এই যে, বাংলা নববর্ষ উদযাপনে এদেশের মুসলিম সন্তানেরা কার্পণ্য বোধ না করলেও ঈদুল ফিতরের দিন তারা আনন্দ উদযাপন করার কোন তাগিদ অনুভব করে না। তারা খুব সকালে উঠে বটমূলে যেতে পারলেও ঈদগাহে যেতে পারে না। ইসলামী সংস্কৃতির জায়গায় অনৈসলামিক সংস্কৃতিকে লালন করার ফলে আমাদের এ কী নিকৃষ্ট অধঃপতন!