ইশাআতুল হাদীস

বর্ষঃ ১ সংখ্যাঃ ১
জানুয়ারী, ২০২৪

ইশাআতুল হাদীস

ইঞ্জি. তাহসিন আল মাহি

Views: 220

Share:

আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে জানাই লাখো-কোটি শুকরিয়া, যার অশেষ অনুগ্রহে আমরা “মাসিক ইশাআতুল হাদীস”-এর কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হউক শেষনবী রহমাতুল্লিল আলামীন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর ওপর, কেবলমাত্র যার অনুসরণে আখেরাতে নাজাত রয়েছে।

ইসলামী শরীআতের পরিভাষায় হাদীস (الحديث) বলতে আল্লাহর কালাম কুরআন এবং রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর কথা-কর্ম-কাজ উভয়টিকেই বোঝানো হয়। আর ইশাআত (اشاعة) অর্থ প্রচার। তাহলে “ইশাআতুল হাদীস” (اشاعة الحديث)-এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে হাদীসের প্রচার।

অনলাইন জগতে বাতিলের দৌরাত্ম্যকে দমন করতে একটি অনলাইন বা ডিজিটাল ইসলামী পত্রিকার খুব প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছিলো। ছাপাখানায় মুদ্রিত ইসলামী পত্রিকাগুলো তাদের ওয়েবসাইটেও লেখা প্রকাশ করেন, কিন্তু তাদের সংখ্যা খুব নগণ্য। “মাসিক ইশাআতুল হাদীস” সেই নগণ্যদের তালিকায় যুক্ত হয়ে অনলাইনে আহলে হাদীস মাসলাকভিত্তিক লেখনী বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চায়।

হাদীসকে অবজ্ঞা করা, হাদীসের বিরোধিতা করা ইত্যাদি সীমালঙ্ঘনমূলক কর্মকাণ্ডের বিপরীতে আহলে হাদীস মাসলাক অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় আসমুদ্রহিমাচল দণ্ডায়মান। যখনই কোন ফেতনা মাথাচাড়া দিয়েছে, আহলে হাদীস ওলামায়ে কেরাম রাত পার হওয়ার পূর্বেই তার জবাব প্রস্তুত করে ফেলেছেন। এমনসব জবাব বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য উন্মুক্ত করার প্রয়াসে আমরা কাজ করতে চাই। বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশের আহলে হাদীস ওলামায়ে কেরাম হাদীসের পক্ষে যে খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন, তা সারাবিশ্বের জন্য একটি দৃষ্টান্ত। আমরা এই খেদমতগুলো বাংলা ভাষায় প্রকাশ করতে চাই।

“মাসিক ইশাআতুল হাদীস”-এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশের ঊষালগ্নে আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ভারতীয় উপমহাদেশে হাদীসের পক্ষে আজীবন লড়াই করে যাওয়া আহলে হাদীস বীর মুজাহিদ শেরে পাঞ্জাব ফাতিহে কাদিয়ান মাওলানা সানাউল্লাহ অমৃতসরী (রহ:)-কে, যিনি একাধিক পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে মুসলিমদের মধ্যে গজিয়ে ওঠা ভ্রান্ত মতবাদ থেকে নিয়ে হিন্দু ও খ্রিস্টানদের ইসলামবিরোধী অপতৎপরতার দলীলভিত্তিক জবাব লিখে গেছেন। অত্র ম্যাগাজিন প্রকাশের পেছনে মাওলানা সানাউল্লাহ অমৃতসরী (রহ:) আমাদের মূল প্রেরণা।

এই ম্যাগাজিন প্রকাশের জন্য মেধা, শ্রম, বুদ্ধি, পরামর্শ দিয়ে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে যেন আল্লাহ তাআলা আখেরাতে উত্তম বিনিময় দান করেন। যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি, আল্লাহ যেন আমাদের সেই উদ্দেশ্যকে কবুল-মনযুর করেন। আমৃত্যু যেন আমরা সীরাতে মুস্তাকীমের ওপর কায়েম থাকতে পারি, সেই তাওফীক যেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে দান করেন। আমীন।