বর্ষঃ ২ সংখ্যাঃ ১
জানুয়ারী, ২০২৫
কাবলাল জুমআ (পর্ব ৪)
আহমাদুল্লাহ সৈয়দপুরী
Views: 89
৩. মাকতু বর্ণনাসমূহ
এবার আমরা কতিপয় মাকতু বর্ণনার পর্যালোচনা করবো।
দলীল ১
ইবনে আব্দুল বারর রহিমাহুল্লাহ বলেন,
حَدَّثَنَا مِنْجَابُ بْنُ الْحَارِثِ قَالَ أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِي عَنْ أَبِيهِ قَالَ كُنْتُ أَرَى أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ قَامُوا فَصَلُّوا أَرْبَعًا.
আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন মিনজাব ইবনুল হারিস। তিনি বলেছেন, আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন খালিদ বিন সাঈদ বিন আমর বিন সাঈদ ইবনুল আস তার পিতা হতে। তিনি বলেছেন, “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণকে দেখতাম জুমআর দিন সূর্য ঢলে যাওয়ার পর তারা দাঁড়িয়ে যেতেন এবং চার রাকাআত নামায আদায় করতেন।”
তাখরীজ: আত তামহীদ, ৪/২৬।
তাহকীক:
(ক) উক্তিটি একজন তাবেঈর। যেহেতু হানাফী মাযহাবের অনুসারীগণ আবূ হানীফা রহিমাহুল্লাহ ব্যতীত অন্য কোনো তাবেঈর তাকলীদ করে না, সুতরাং অত্র বর্ণনা দ্বারা তাদের দলীল দেওয়া গ্রহণীয় হতে পারে না। আসলে নিজেদের মর্জি মোতাবেক দলীল প্রতিষ্ঠা করাই তাদের লক্ষ্য। সেজন্য স্বীয় ইমামকে ত্যাগ করতেও তারা দ্বিধা করে না।
(খ) মুহাদ্দিসগণের উসূল অনুযায়ী তাবেঈগনের উক্তি সবসময় দলীল হিসেবে গ্রহণীয় হয় না।
(গ) অত্র বর্ণনায় খালিদ বিন সাঈদ রয়েছেন। তিনি একজন যঈফ রাবী।১
দলীল ২
حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: كَانُوا يُصَلُّونَ قَبْلَهَا أَرْبَعًا.
আমাদেরকে আমাশ হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন হাফস, তিনি ইবরাহীম নাখঈ হতে। তিনি বলেছেন, “তারা জুমআর পূর্বে চার রাকাআত নামায আদায় করতেন।“
তাখরীজ: মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, হা/৫৩৬৩।
তাহকীক: বর্ণনাটি যঈফ। কারণ অত্র বর্ণনার সনদে আমাশ নামক একজন রাবী আছেন, যিনি আস্থাভাজন হলেও মুদাল্লিস ছিলেন। তার বিষয়ে মুহাদ্দিসগণের বক্তব্য তুলে ধরা হলো-
(ক) হাফেয ইবনে আব্দুল বারর রহিমাহুল্লাহ বলেন, “.وَقَالُوا لَا يُقْبَلُ تَدْلِيسُ الْأَعْمَشِ”। “আমাশের তাদলীস গ্রহণ করা যাবে না।”২
(খ) ইমাম দারাকুতনী রহিমাহুল্লাহ বলেন, “.وَلَعَلَّ الْأَعْمَشَ دَلَّسَهُ عَنْ حَبِيبٍ”। “সম্ভবত আমাশ রহিমাহুল্লাহ হাবীব রহিমাহুল্লাহ থেকে তাদলীস করেছেন।”৩
(গ) ইমাম আবূ হাতেম রহিমাহুল্লাহ বলেন, “.الأعمشُ ربَّما دَلَّس”। “আমাশ রহিমাহুল্লাহ কখনো কখনো তাদলীস করতেন।”৪
(ঘ) ইমাম আবূ আব্দুর রহমান আহমাদ বিন শুআইব বিন আলী ‘যিকরুল মুদাল্লিসীন’ গ্রন্থের পরিশিষ্টে তাকে মুদাল্লিস রাবী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।৫
(ঙ) হাফেয যাহাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন, “سليمان بن مهران الكاهلى الكوفي الأعمش، أبو محمد أحد الائمة الثقات، عداده في صغار .التابعين، ما نقموا عليه إلا التدليس”। “আমাশ অন্যতম সিকাহ ইমাম। তাকে ছোটো তাবেঈগণের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে গণ্য করা হয়। কেবলমাত্র তাদলীসের কারণের মুহাদ্দিসগণ তার সমালোচনা করেছেন।”৬ তিনি আরও বলেন, “.قلت : وهو يدلس ، وربما دلس عن ضعيف”। “আমিও বলছি তিনি তাদলীস করতেন। কখনো কখনো যঈফ রাবীদের থেকেও তাদলীস করতেন।”৭
(চ) হাফেয আলাঈ রহিমাহুল্লাহ বলেন, “.وهذا الأعمش من التابعين وتراه دلس عن الحسن بن عمارة وهو يعرف ضعفه”। “আমাশ তাবেঈগণের অন্তর্ভুক্ত। তাকে তুমি দেখবে হাসান বিন উমারাহ থেকে তাদলীস করতে। অথচ তিনি যঈফ হিসেবে প্রসিদ্ধ।”৮
(ছ) ইবনুল ইরাকী রহিমাহুল্লাহ বলেন, “.سليمان الأعمش مشهور بالتدليس أيضاً”। “সুলায়মান আমশ তাদলীদের কারণে প্রসিদ্ধ।”৯
(জ) হাফেয বুরহানুদ্দীন আল হালবী বলেন, “.سليمان بن مهران الأعمش مشهور به”। “সুলায়মান বিন মিহরান আল আমাশ তাদলীসের কারণে প্রসিদ্ধ।”১০
(ঝ) ইবনে হাজার আসকালানী রহিমাহুল্লাহ বলেন, “.سليمان بن مهران الاعمش محدث الكوفة وقارؤها وكان يدلس وصفه بذلك الكرابيسي والنسائي والدارقطني وغيرهم”। “সুলায়মান বিন মিহরান কুফার মুহাদ্দিস এবং রাবী। তিনি তাদলীস করতেন। কারাবীসী, নাসাঈ, দারাকুতনী প্রমুখ বিদ্বানগণ তাকে মুদাল্লিস রাবী হিসেবে বর্ণনা করেছেন।”১১
(ঞ) হাফে্য জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহিমাহুল্লাহ বলেন, “.سليمان الأعمش مشهور به بالتدليس”। “সুলায়মান আমাশ তাদলীসের জন্য প্রসিদ্ধ।”১২
(ট) ‘বায়ানুল ওয়াহমি ওয়াল ঈহাম’ গ্রন্থে বলা হয়েছে, “.فَإِنَّهُ مُدَلّس”। “নিশ্চয় তিনি মুদাল্লিস।”১৩
(ঠ) হাফেয যুবায়ের আলী যাঈ রহিমাহুল্লাহ তাকে ‘প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।১৪
উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আমাশ একজন সিকাহ তবে মুদাল্লিস রাবী। মুদাল্লিস রাবীর ‘আন আন’ সাধারণত যঈফ হয়। তবে স্পষ্টত ‘সামা’র উল্লেখ থাকলে হুকুম পরিবর্তিত হয়ে যায়। তদুপরি এটি একজন তাবেঈর উক্তি মাত্র। তাবেঈগন থেকে ভিন্ন ভিন্ন আমল পাওয়া যায়। ‘মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ’ গ্রন্থে ইমাম ইবনে আবী শায়বাহ রহিমাহুল্লাহ ‘জুমআর পূর্বের সালাত’ শিরোনামে একাধিক হাদীস সন্নিবেশিত করেছেন। যেমন-
(১) ৫৩৬০ নং হাদীসে চার রাকাআত।
(২) ৫৩৬১ নং হাদীসে দীর্ঘ নামাযের কথা আছে, তবে রাকাআত সংখ্যার উল্লেখ নেই।
(৩) ৫৩৬২ নং হাদীসে দশ রাকাআত।
(৪) ৫৩৬৩ নং হাদীসে চার রাকাআত।
(৫) ৫৩৬৪ ও ৫৩৬৫ নং হাদীসে বাসায় দুই রাকাআত।
মোটকথা দুই, চার বা ছয় তথা যত ইচ্ছা পড়া যাবে। নির্দিষ্ট সংখ্যার মধ্যে একে সীমাবদ্ধ করার সহীহ কোন দলীল নেই। আর থাকলেও সেগুলো দ্বারা হানাফী ভাইদের দলীল গ্রহণ করা সিদ্ধ নয়। কারণ এগুলোতে এমন কোনো বর্ণনা নেই যদ্বারা এটি প্রমাণিত হয় যে, প্রথমে মাতৃভাষায় খুতবা দিতে হবে, এরপর খতীবের দেওয়া সময় অনুসারে মাঝখানে চার রাকাআত পড়তে হবে, অতঃপর আরবীতে খুতবা প্রদান করতে হবে। মূলত এটি একটি ভিত্তিহীন বিদআতী প্রথা যার অস্তিত্ব কোথাও ছিলো না। যদিও অনেকে মুসতাদরাক হাকেম হতে একটি হাদীস দিয়ে দলীল প্রদানের চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটিও প্রচলিত কাবলাল জুমআর পক্ষে দলীল হিসেবে গ্রহণীয় নয়।
উল্লেখ্য, ওমর রাযিআল্লাহু তাআলা আনহুর যুগে তিনি অর্ধ পৃথিবী শাসন করেছিলেন। প্রতিটি স্থানেই তিনি আরবীতে খুতবা দিতে আদেশ জারী করেছিলেন বা প্রতিটি স্থানেই আরবীতে খুতবা প্রদান করা হতো মর্মে কোন দলীল নেই।
৪. জুমআর নামাযের পূর্বে সাধ্যানুযায়ী নামায আদায় করার দলীলসমূহ
পূর্ববর্তী আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হয়ে গেলো যে, জুমআর পূর্বে নির্ধারিতভাবে চার রাকাআত সুন্নাত নামায আদায় করার কোনো সহীহ দলীল নেই। এর বিপরীতে সাধ্যানুযায়ী নামায আদায় করার কতিপয় সহীহ নিম্নে আলোচনা করা হলো।
দলীল ১:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ : مَنِ اغْتَسَلَ ؟ ثُمَّ أَتَى الْجُمُعَةَ، فَصَلَّى مَا قُدِّرَ لَهُ، ثُمَّ أَنْصَتَ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْ خُطْبَتِهِ، ثُمَّ يُصَلِّي مَعَهُ، غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى، وَفَضْلُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ.
আবূ হুরায়রা রাযিআল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমআর দিনে গোসল করে জুমআর নামাযে আসবে এবং তার সাধ্যানুযায়ী নামায আদায় করবে, তারপর ইমাম খুতবা শেষ করা পর্যন্ত চুপ থাকবে, অতঃপর তার সাথে জুমআর নামায পড়বে, তাহলে এই জুমআ এবং তার পরবর্তী জুমআর মাঝের পাপসমূহ ক্ষমা করা হবে এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের পাপ ক্ষমা করা হবে।“
তাখরীজ: সহীহ মুসলিম, হা/৮৫৭; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ, হা/১০৫৯; মিশকাত, হা/১৩৮২; বুলুগুল মারাম, হা/৪৬২।
পর্যালোচনা:
(ক) ইমাম নববী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির ব্যাখ্যায় বলেন, "وَفِيهِ أَنَّ التَّنَفُّلَ قَبْلَ خُرُوجِ الْإِمَامِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مُسْتَحَبٌّ وَهُوَ مَذْهَبُنَا وَمَذْهَبُ الْجُمْهُورِ وَفِيهِ أَنَّ النَّوَافِلَ الْمُطْلَقَةَ لَا حَدَّ لَهَا لِقَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى مَا قُدِّرَ لَهُ."। “এতে (দলীল) রয়েছে যে, নিশ্চয়ই জুমআর দিনে ইমামের বের হওয়ার পূর্বে নফল নামায আদায় করা মুসতাহাব। এটিই আমাদের এবং জমহূরের মত। এতে আরও (দলীল) আছে যে, সাধারণ নফলের কোন (নির্দিষ্ট রাকআত সংখ্যার) সীমারেখা নেই। কেননা নবী করীম বলেছেন, ‘এরপর সে সাধ্যমত নামায আদায় করবে’।“১৫
(খ) ইমাম সানআনী রহিমাহুল্লাহ বলেন, “.وَأَنَّهُ لَا بُدَّ مِنْ النَّافِلَةِ حَسْبَمَا يُمْكِنُهُ فَإِنَّهُ لَمْ يُقَدِّرْهَا بِحَدٍّ”। “নফল আদায়কারী তার সাধ্যমত নফল নামায আদায় করতে পারবে। কেননা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটি নির্দিষ্ট সীমার সাথে নির্ধারিত করেননি।”১৬
(গ) ইমাম শাওকানী রহিমাহুল্লাহ বলেন, “.فَصَلَّى مَا قُدِّرَ لَهُ فِيهِ أَنَّ الصَّلَاة قَبْلَ الْجُمُعَة لَا حَدّ لَهَا”। “এতে দলীল রয়েছে যে, জুমআর পূর্বে নামাযের কোনো নির্ধারিত সীমারেখা নেই”।১৭
দলীল ২:
عَنْ سَلْمَانَ الفَارِسِيِّ، قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لاَ يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَوْمَ الجُمُعَةِ، وَيَتَطَهَّرُ مَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ، وَيَدَّهِنُ مِنْ دُهْنِهِ، أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيبِ بَيْتِهِ، ثُمَّ يَخْرُجُ فَلاَ يُفَرِّقُ بَيْنَ اثْنَيْنِ، ثُمَّ يُصَلِّي مَا كُتِبَ لَهُ، ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الإِمَامُ، إِلَّا غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجُمُعَةِ الأُخْرَى.
সালমান ফারিসী রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “... অতঃপর সে নামায আদায় করবে ততটুকু, যতটুকু তার জন্য লেখা হয়েছে। এরপর ইমামের খুতবা প্রদানকালে চুপ থাকবে। তাহলে তার পরবর্তী জুমআর মধ্যবর্তী সময়ের পাপগুলি ক্ষমা করা হবে।“
তাখরীজ: বুখারী, হা/৮৮৩; মিশকাত, হা/১৩৮১; সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৬৮৯ রিয়াযুস সালেহীন, হা/১১৫৪।
উপসংহার: উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা প্রতীয়মান হলো যে, জুমআর নামাযের পূর্বে নির্দিষ্টভাবে চার রাকাআত নামাযকে সুন্নাত মনে করে আদায়ের পক্ষে কোনো সহীহ দলীল নেই। তবে খতীবের খুতবা প্রদানের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত ইচ্ছামত নফল নামায আদায় করা যাবে। আল্লাহ আমাদের হক জানা ও মানার তাওফীক দান করুন। আমীন!
সমাপ্ত
১. বুখারী, আত তারীখুল কাবীর, রাবী নং ৪৬৬
২. আত তামহীদ, ১/৩০
৩. আল ইলালুল ওয়ারিদাহ, মাসআলা ১৮৮৮
৪. ইবনে আবী হাতেম, ইলালুল হাদীস, হা/৯
৫. মুলহাক, পৃ: ১২৫
৬. মীযানুল ইতিদাল, জীবনী নং ৩৫১৭
৭. মীযানুল ইতিদাল, জীবনী নং ৩৫১৭
৮. জামিউত তাহসীল ১/১০১
৯. আল মুদাল্লিসীন, জীবনী নং ২৫, হারফুস সীন
১০. আত তাবঈন লি আসমাইল মুদাল্লিসীন, জীবনী নং ৩০
১১. তাবাকাতুল মুদাল্লিসীন, জীবনী নং ৫৫
১২. আসমাউল মুদাল্লিসীন, জীবনী নং ২১
১৩. বায়ানুল ওয়াহমি ওয়াল ঈহাম, হা/৪৪১
১৪. তাহকীকী ওয়া ইলমী মাকালাত, ১/২৬৭-২৭২
১৫. নববী, শারহু সহীহ মুসলিম, হা/৮৫৭-এর ব্যাখ্যা দ্র.
১৬. সুবুলুস সালাম শরহে বুলুগুল মারাম, হা/৪২৯
১৭. নায়লুল আওতার, হা/১২২২-এর ব্যাখ্যা দ্র.