বর্ষঃ ১ সংখ্যাঃ ৬
জুন, ২০২৪
কাবলাল জুমআ (পর্ব ৩)
আহমাদুল্লাহ সৈয়দপুরী
Views: 158
২. মাওকুফ দলীলসমূহ:
মারফূ বর্ণনাগুলোর আলোচনা শেষ করার পর আমরা এখন এ সম্পর্কে কিছু মাওকূফ হাদীসের পর্যালোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। আমরা যতগুলো মারফূ হাদীস নিয়ে আলোচনা করেছি সেগুলো ছাড়া আর কোনো দলীল নেই এমনটি নয়। বরং আরও দলীল থাকতে পারে, যা আপাতত আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞানে নেই। পরবর্তীতে জানতে পারলে সেটি যুক্ত করা যাবে।
দলীল ১:
عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ قَالَ : كَانَ عَبْدُ اللهِ يَأْمُرُنَا أَنْ نُصَلِّيَ قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا، وَبَعْدَهَا أَرْبَعًا، حَتَّى جَاءَنَا عَلِيٌّ فَأَمَرَنَا أَنْ نُصَلِّيَ بَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَرْبَعًا.
সাওরী হতে, তিনি আতা ইবনুস সায়েব হতে, তিনি আবূ আব্দুর রহমান আস সুলামী হতে। তিনি বলেছেন, “আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাযিআল্লাহু আনহু আমাদেরকে কাবলাল জুমআ (জুমআর পূর্বে) চার রাকাআত, বাদাল জুমআ (জুমআর পরে) চার রাকাআত পড়ার নির্দেশ দিতেন। অবশেষে হযরত আলী রাযিআল্লাহু আনহু যখন আমাদের এখানে আসলেন, তখন তিনি আমাদেরকে বাদাল জুমআ দুই রাকাআত তারপর চার রাকাআত পড়ার আদেশ দিলেন’।
তাখরীজ: মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক, হা/৫৫২৫।
তাহকীক: এটি যঈফ। এর রাবী সুফিয়ান সাওরী রহিমাহুল্লাহ এখানে তাদলীস করেছেন। তিনি মুদাল্লিস রাবী হিসেবে প্রসিদ্ধ।
(ক) ইবনে হাজার আসকালানী রহিমাহুল্লাহ তাঁর সম্পর্কে বলেছেন,
سفيان ابن سعيد ابن مسروق الثوري أبو عبد الله الكوفي ثقة حافظ فقيه عابد إمام حجة من رؤوس الطبقة السابعة وكان ربما دلس.
“সুফিয়ান ইবনু সাঈদ ইবনু মাসরূক আস সাওরী আবূ আব্দুল্লাহ আল কূফী আস্থাভাজন, (হাদীসের) হাফেয, ফকীহ, ইবাদতগুযার, সপ্তম স্তরের শীর্ষস্থানীয় হুজ্জাত ইমামদের অন্তর্ভুক্ত। তবে তিনি কখনো কখনো তাদলীস করতেন।“১
(খ) জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন, “সুফিয়ান সাওরী তাদলীসের জন্য প্রসিদ্ধ”।২ অর্থাৎ তিনি মুদাল্লিস রাবী হিসেবে প্রসিদ্ধ।
(গ) ইবনুল ইরাকী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন, “سفيان بن سعيد الثوري مشهور بالتدليس.”। “সুফিয়ান বিন সাঈদ সাওরী তাদলীসের কারণে প্রসিদ্ধ।”৩
(ঘ) বুরহানুদ্দীন হালাবী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন, “سفيان الثوري مشهور به.”। “সুফিয়ান সাওরী তাদলীসের জন্য প্রসিদ্ধ।”৪
(ঙ) ইবনুত তুরকুমানী হানাফী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন, “الثوري مدلس وقد عنعن.”। “(সুফিয়ান) সাওরী মুদাল্লিস। কারণ তিনি ‘আন’ শব্দে বর্ণনা করতেন।”৫
(চ) যাহাবী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন, “كان يدلس عن الضعفاء.”। “তিনি যঈফ রাবীদের থেকে তাদলীস করতেন।”৬
(ছ) বদরুদ্দীন আইনী হানাফী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন, “وسُفْيَان من المدلسين.”। “সুফিয়ান মুদাল্লিস রাবীদের অন্তর্ভুক্ত।”৭
(জ) ইমাম নববী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন, “أَنَّ سُفْيَانَ مُدَلِّسٌ.”। “নিশ্চয়ই সুফিয়ান হলেন মুদাল্লিস রাবী।”৮
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, হাদীসটির সনদ যঈফ। তাছাড়া এ হাদীস দ্বারা প্রচলিত কাবলাল জুমআ প্রমাণিত হয় না।
দলীল ২:
عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، وَبَعْدَهَا أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ ، قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ : وَكَانَ عَلِيٌّ يُصَلِّي بَعْدَ الْجُمُعَةِ سِتَّ رَكَعَاتٍ، وَبِهِ يَأْخُذُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ.
মামার হতে, তিনি কাতাদা হতে বর্ণনা করেছেন যে, “নিশ্চয়ই ইবনে মাসঊদ রাযিআল্লাহু তাআলা আনহু জুমআর পূর্বে চার রাকাআত এবং পরে চার রাকাআত পড়তেন। আবূ ইসহাক বলেছেন, আলী রাযিআল্লাহু তাআলা আনহু জুমআর পর ছয় রাকাআত পড়তেন। আর আব্দুর রাযযাক এ মতটি গ্রহণ করেছেন।“
তাখরীজ: মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক, হা/৫৫২৪।
তাহকীক: হাদীসটি যঈফ। কারণ এখানে কাতাদা রহিমাহুল্লাহ তাদলীস করেছেন। তিনি ৬০ হিজরীতে জন্ম গ্রহণ করেছেন।৯ তাঁর সম্পর্কে ইমামদের বক্তব্য নিম্নরূপ-
(ক) হাফেয যাহাবী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন,
وَهُوَ حُجّةٌ بِالإِجْمَاعِ إِذَا بَيَّنَ السَّمَاعَ، فَإِنَّهُ مُدَلِّسٌ مَعْرُوْفٌ بِذَلِكَ، وَكَانَ يَرَى القَدَرَ - نَسْأَلُ اللهَ العَفْوَ.
“যখন তিনি শ্রবণের বিষয়টি উল্লেখ করেন তখন তিনি ইজমা অনুপাতে হুজ্জাত হয়ে থাকেন। কেননা তিনি মুদাল্লিস রাবী। এ সম্পর্কে তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি কাদারিয়া আকীদা পোষণ করতেন। আমরা আল্লাহর কাছে তার জন্য ক্ষমা চাই।“১০
তিনি অন্যত্র বলেছেন,
حافظ ثقة ثبت، لكنه مدلس: ورمى بالقدر، قاله يحيى بن معين، ومع هذا فاحتج به أصحاب الصحاح، لا سيما إذا قال حدثنا.
“তিনি হাদীসের হাফেয, সিকাহ এবং প্রমাণিত। কিন্তু রাবী হিসেবে মুদাল্লিস। তাকে কাদারী হওয়ার দোষে অভিযুক্ত করা হয়েছিলো। তার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন এমনটা বলেছেন। তা সত্ত্বেও আসহাবে সিহাহগণ তার দ্বারা দলীল পেশ করতেন, বিশেষভাবে যখন তিনি ‘হাদ্দাসানা’ উল্লেখ করতেন।”১১
(খ) হাফেয আলাঈ রহিমাহুল্লাহ বলেছেন,
قتادة بن دعامة السدوسي أحد المشهورين بالتدليس وهو أيضا يكثر من الإرسال.
“কাতাদা বিন দিআমাহ আস সাদূসী অন্যতম প্রসিদ্ধ মুদাল্লিস রাবী। তিনি প্রচুর পরিমাণে মুরসাল বর্ণনাও উদ্ধৃত করেছেন।”১২
(গ) ‘আল মুদাল্লিসীন’ গ্রন্থে আছে, "قتادة بن دعامة السدوسي مشهور به أيضاً." “কাতাদা বিন দিআমাহ আস সাদূসী তাদলীসের কারণে প্রসিদ্ধ।“১৩
(ঘ) ‘আত তাবঈন লি আসমাইল মুদাল্লিসীন’ গ্রন্থে তাঁকে উল্লেখ করা হয়েছে।১৪ কারণ তিনি একজন মুদাল্লিস রাবী ছিলেন।
(ঙ) ইবনে হাজার আসকালানী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন,
قتادة بن دعامة السدوسي البصري صاحب أنس بن مالك رضي الله تعالى عنه كان حافظ عصره وهو مشهور بالتدليس وصفه به النسائي وغيره.
“আনাস বিন মালেক রাযিআল্লাহু তাআলা আনহু-এর ছাত্র কাতাদা বিন দিআমাহ আস সাদূসী আল বসরী। তিনি তার যামানার শ্রেষ্ঠ হাফেয ছিলেন। তবে তিনি তাদলীসের কারণে প্রসিদ্ধ। ইমাম নাসাঈ এবং অন্যরা তাকে মুদাল্লিস রাবী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।”১৫
প্রখ্যাত সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাযিআল্লাহু তাআলা আনহু ৩২ হিজরীতে বা এর পরে মদীনায় এসে মারা গিয়েছিলেন।১৬ সুতরাং কাতাদার সাথে ইবনে মাসঊদের কাছ থেকে সরাসরি হাদীস শ্রবণ করা অসম্ভব। তাই এই সনদটি মুনকাতি বা বিচ্ছিন্ন।
দলীল ৩:
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، وَبَعْدَهَا أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ: وَكَانَ عَلِيٌّ يُصَلِّي بَعْدَ الْجُمُعَةِ سِتَّ رَكَعَاتٍ.
আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ইসহাক বিন ইবরাহীম আব্দুর রাযযাক হতে, তিনি মামার হতে, তিনি আবূ ইসহাক হতে যে, “নিশ্চয়ই ইবনে মাসঊদ জুমআর পূর্বে চার রাকাআত এবং পরে চার রাকাআত পড়তেন।“ আবূ ইসহাক বলেছেন, “আলী জুমআর পরে ছয় রাকাআত পড়তেন।“
তাখরীজ: তাবারানী, আল মুজামুল কাবীর, হা/৯৫৫৫।
তাহকীক: হাদীসটি যঈফ। এ হাদীসের সনদে আবূ ইসহাক আস সাবীঈ রহিমাহুল্লাহ নামক মুদাল্লিস রাবী রয়েছেন। ইমামগণ তার সম্পর্কে বলেছেন-
(ক) ‘আসমাউল মুদাল্লিসীন’ গ্রন্থে বর্ণিত আছে যে, “كثير التدليس”। “তিনি অত্যধিক তাদলীসকারী।”১৭
(খ) ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী রহিমাহুল্লাহ তাঁকে স্বীয় ‘তাবাকাতুল মুদাল্লিসীন’ গ্রন্থে মুদাল্লিস রাবী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।১৮
(গ) যিকরুল মুদাল্লিসীন১৯, আল মুদাল্লিসীন২০ প্রভৃতি বইয়ে তাকে প্রসিদ্ধ মুদাল্লিস রাবী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
(ঘ) ইমাম নাসিরুদ্দীন আলবানী রহিমাহুল্লাহ তাঁকে মুদাল্লিস রাবী বলেছেন।২১ অন্যত্র তিনি বলেছেন, "الثانية : أبو إسحاق السبيعي ، ثقة ولكنه على اختلاطه مدلس." “দ্বিতীয়ত, আবূ ইসহাক আস সাবীঈ সিকাহ। কিন্তু তিনি তার ইখতিলাত থাকা সত্ত্বেও মুদাল্লিস রাবী ছিলেন।“২২
দলীল ৪:
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رِزْمَةَ الْمَرْوَزِيُّ ، أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ ، عَنْ عَطَاءٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، قَالَ : كَانَ إِذَا كَانَ بِمَكَّةَ فَصَلَّى الْجُمُعَةَ ، تَقَدَّمَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ، ثُمَّ تَقَدَّمَ فَصَلَّى أَرْبَعًا ، وَإِذَا كَانَ بِالْمَدِينَةِ صَلَّى الْجُمُعَةَ ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى بَيْتِهِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ، وَلَمْ يُصَلِّ فِي الْمَسْجِدِ ، فَقِيلَ لَهُ ، فَقَالَ : كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُ ذَلِكَ.
আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল আযীয বিন আবী রিমযাহ আল মারওয়াযী। (তিনি বলেছেন) আমাদেরকে ফযল বিন মূসা সংবাদ দিয়েছেন আব্দুল হামীদ বিন জাফর হতে, তিনি ইয়াযীদ বিন আবূ হাবীব হতে, তিনি আতা হতে, তিনি ইবনে ওমর হতে। তিনি বলেছেন, “তিনি যখন মক্কায় থাকতেন তখন জুমআ পড়তেন। সামনে অগ্রসর হয়ে দুই রাকাআত পড়তেন। অতঃপর (সম্মুখে আরেকটু) অগ্রসর হয়ে চার রাকাআত পড়তেন। আর যখন মদীনায় থাকতেন তখন জুমআ পড়তেন। অতঃপর নিজের বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করে দু রাকাআত পড়তেন। মসজিদে পড়তেন না।“ তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনটিই করতেন।“
তাখরীজ: আবূ দাঊদ, হা/১১৩০।
তাহকীক: এটি সহীহ হাদীস। এই হাদীস দ্বারা জুমআর পূর্বে সুন্নাত হিসেবে চার রাকাআত নির্ধারিত করে আদায় করা প্রমাণিত হয় না।
দলীল ৫:
أخبرنا يزيد بن هارون عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ صَافِيَةَ سَمِعَهَا وَهِيَ تَقُولُ : رَأَيْتُ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ صَلَّتْ أَرْبَعًا قَبْلَ خُرُوجِ الإِمَامِ وَصَلَّتِ الْجُمُعَةَ مَعَ الإِمَامِ رَكْعَتَيْنِ.
আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন ইয়াযীদ বিন হারূন হাম্মাদ বিন সালামাহ হতে, তিনি সাফিয়া হতে, তিনি শ্রবণ করেছেন যে, সাফিয়া বলেন, “আমি সাফিইয়া বিনতে হুয়াইকে দেখেছি ইমাম বের হওয়ার পূর্বে চার রাকাআত পড়তে এবং তিনি ইমামের সাথে জুমআর দুই রাকাআত পড়তেন।“
তাখরীজ: ইবনে সাদ, আত তাবাকাতুল কুবরা, রাবী নং ৪৭০১।
তাহকীক: হাদীসটি যঈফ। কারণ এই হাদীসের সনদে হাম্মাদ বিন সালামাহ রয়েছেন। তিনি মুদাল্লিস এবং মুখতালিত রাবী। আল্লামা ইরশাদুল হক আসারী হাফিযাহুল্লাহ বলেছেন, “হাম্মাদ বিন সালামাহ রহিমাহুল্লাহও বাজে হিফযের অধিকারী ছিলেন। আর শেষ জীবনে তার মস্তিষ্কও বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। যেমনটি তাকরীবুত তাহযীব গ্রন্থে হাফেয ইবনে হাজার রহিমাহুল্লাহ স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন।“
তাছাড়া এই হাদীস দ্বারা নারীদের জুমআর নামায জামাআতের সাথে আদায় করা প্রমাণিত হয়। সুতরাং এই হাদীসটি হানাফীদের পক্ষ থেকে দলীল হতে পারে না।
চলবে...
১. তাকরীবুত তাহযীব, রাবী নং ২৪৪৫
২. আসমাউল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ১৮
৩. আল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ২১
৪. আত তাবঈন, রাবী নং ২৫
৫. আল জাওহারুন নাকী ৮/২৬২
৬. মীযানুল ইতিদাল, রাবী নং ৩৩২২
৭. উমদাতুল কারী হা/২১৪-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য
৮. শরহে সহীহ মুসলিম ২/১৮২
৯. সিয়ারু আলামিন নুবালা, রাবী নং ১৩২
১০. সিয়ারু আলামিন নুবালা, রাবী নং ১৩২
১১. মীযানুল ইতিদাল, রাবী নং ৬৮৬৪
১২. জামিউত তাহসীল, রাবী নং ৬৩৩
১৩. আল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৪৯
১৪. আত তাবঈন লি আসমাইল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৫৭
১৫. তাবাকাতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৯২
১৬. তাকরীবুত তাহযীব, রাবী নং ৩৬১৩
১৭. আসমাউল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৪৫
১৮. তাবাকাতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৬৬
১৯. যিকরুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৯
২০. আল মুদাল্লিসীনই, রাবী নং ৪৭
২১. সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৭০১
২২. সিলসিলা সহীহাহ, হা/২০৩৫